স্মার্ট সিটিতে বসবাসের খরচ কমাতে চান? এই টিপসগুলো না জানলে বিরাট ক্ষতি!

webmaster

**

"A diverse group of fully clothed families are enjoying a sunny afternoon in a community garden within a modern, eco-friendly smart city. The background features apartment buildings with solar panels and green roofs. Children are playing, and adults are tending to plants. The scene is vibrant and full of life, showcasing community interaction and sustainable living. Safe for work, appropriate content, fully clothed, professional, family-friendly, perfect anatomy, correct proportions, natural pose, well-formed hands, proper finger count, natural body proportions."

**

আজকাল স্মার্ট সিটির ধারণা খুব জনপ্রিয় হচ্ছে, যেখানে সবকিছু প্রযুক্তিনির্ভর। কিন্তু এই স্মার্ট সিটিতে আমাদের বাসস্থান কেমন হওয়া উচিত? আমি নিজে যখন বিভিন্ন স্মার্ট সিটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম, তখন মনে হল শুধু আধুনিক বিল্ডিং আর রাস্তায় সেন্সর বসালেই তো সবটা হয় না, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নও জরুরি। একটা স্মার্ট শহরে সবার জন্য আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী বাসস্থান থাকা দরকার, যেখানে আধুনিক সব সুবিধা থাকবে। আমার মনে হয়, স্মার্ট সিটি শুধু প্রযুক্তির খেলা নয়, এটা মানুষের জীবনকে সহজ করার একটা উপায়। ২০৫০ সালের মধ্যে শহরের জনসংখ্যা আরও বাড়বে, তাই আমাদের এখন থেকেই ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাসস্থান তৈরি করতে হবে।আসুন, এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

স্মার্ট সিটিতে সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান: একটি চ্যালেঞ্জ

বসব - 이미지 1
স্মার্ট সিটিতে সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান তৈরি করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমি যখন বিভিন্ন শহরে ঘুরেছি, দেখেছি যে স্মার্ট সিটিগুলোতে অত্যাধুনিক সব সুবিধা থাকলেও গরিব মানুষের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এর একটা কারণ হল, স্মার্ট সিটিগুলোতে জমির দাম অনেক বেশি থাকে। ডেভেলপাররা বেশি লাভের আশায় বিলাসবহুল আবাসন তৈরি করে, যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকে। এছাড়া, স্মার্ট সিটিগুলোতে ভালো মানের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কাজের সুযোগ থাকায় অনেক মানুষ এখানে বসবাস করতে চায়, ফলে চাহিদার তুলনায় বাসস্থান কম থাকে এবং দাম বেড়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের উচিত গরিব এবং মধ্যবিত্তদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান তৈরির পরিকল্পনা করা, যাতে সবাই স্মার্ট সিটির সুবিধা ভোগ করতে পারে।

সাশ্রয়ী বাসস্থানের অভাব: কারণ ও প্রভাব

স্মার্ট সিটিতে সাশ্রয়ী বাসস্থানের অভাবের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, জমির উচ্চ মূল্য একটি প্রধান কারণ। শহরের কেন্দ্রস্থলে জমির দাম এতটাই বেশি যে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্প তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত, ডেভেলপারদের মধ্যে বিলাসবহুল আবাসন নির্মাণের প্রবণতা বেশি, কারণ এতে তাদের লাভের মার্জিন বেশি থাকে। তৃতীয়ত, স্মার্ট সিটিতে ভালো চাকরির সুযোগ থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে এসে বসবাস করতে চায়, যা চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি তৈরি করে।

কারণ প্রভাব
জমির উচ্চ মূল্য সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নির্মাণ কঠিন
বিলাসবহুল আবাসনের প্রবণতা সাধারণ মানুষের জন্য বাসস্থান সীমিত
চাকরির সুযোগ আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি

সরকারের ভূমিকা ও নীতি

এই সমস্যা সমাধানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সরকারকে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রকল্পগুলির জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া, ডেভেলপারদের জন্য ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তারা সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নির্মাণে উৎসাহিত হয়। সরকারের উচিত এমন নীতি তৈরি করা, যাতে গরিব এবং মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।

পরিবেশ-বান্ধব বাসস্থান: স্মার্ট সিটির ভবিষ্যৎ

স্মার্ট সিটিতে পরিবেশ-বান্ধব বাসস্থান তৈরি করা ভবিষ্যতের জন্য খুবই জরুরি। আমি দেখেছি অনেক শহরে বিল্ডিংগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ এবং দূষণ শহরের পরিবেশকে নষ্ট করে দেয়। তাই, স্মার্ট সিটিতে এমন বাসস্থান তৈরি করা উচিত যা পরিবেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ। এর জন্য সৌর প্যানেল ব্যবহার করা, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। পরিবেশ-বান্ধব বাসস্থান শুধু পরিবেশ রক্ষা করে না, এটি বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। আমার মনে হয়, প্রতিটি স্মার্ট সিটির উচিত পরিবেশ-বান্ধব বাসস্থানের ওপর জোর দেওয়া।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার

পরিবেশ-বান্ধব বাসস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার। সৌর প্যানেল, বায়ু টারবাইন এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাড়ির বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যেতে পারে। এটি কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং পরিবেশের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করে। আমি দেখেছি অনেক স্মার্ট সিটিতে বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা একটি ভালো উদ্যোগ।

বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও ব্যবহার

বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার করা পরিবেশ-বান্ধব বাসস্থানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বৃষ্টির জলকে পরিশোধন করে পানীয় জল এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি জলের অপচয় কমায় এবং জলের অভাব দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া, বৃষ্টির জল ব্যবহার করে বাগান এবং অন্যান্য সবুজ এলাকাতেও জল সরবরাহ করা যেতে পারে।

প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্মার্ট হোম: জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন

স্মার্ট সিটিতে প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্মার্ট হোম তৈরি করা জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন স্মার্ট হোমগুলোতে গিয়েছি, দেখেছি যে সেখানে সবকিছু অটোমেটেড। লাইট, ফ্যান, এসি সবকিছু মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া, স্মার্ট হোমগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক উন্নত থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরা, মোশন সেন্সর এবং স্মার্ট লক ব্যবহার করে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্মার্ট হোম শুধু জীবনকে সহজ করে না, এটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়েও সাহায্য করে। আমার মনে হয়, স্মার্ট সিটিগুলোতে স্মার্ট হোমের ব্যবহার বাড়ানো উচিত।

স্মার্ট হোম অটোমেশন

স্মার্ট হোম অটোমেশন হল প্রযুক্তির মাধ্যমে বাড়ির বিভিন্ন কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা। এর মাধ্যমে লাইট, ফ্যান, এসি, এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে আসে, যেমন – বিদ্যুৎ সাশ্রয়, নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং আরামদায়ক জীবনযাপন। আমি নিজে আমার বাড়িতে স্মার্ট হোম অটোমেশন সিস্টেম ব্যবহার করি এবং এতে আমার জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

স্মার্ট হোমগুলোতে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরা, মোশন সেন্সর এবং স্মার্ট লক ব্যবহার করে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এই ডিভাইসগুলো বাড়ির চারপাশে নজর রাখে এবং কোনো সন্দেহজনক কিছু দেখলে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে। এছাড়া, স্মার্ট লক ব্যবহার করে যে কেউ বাড়ির দরজা খুলতে পারবে না, যা বাড়ির নিরাপত্তা আরও বাড়ায়।

বহুমুখী ব্যবহারের স্থান: কর্মক্ষেত্র ও বাসস্থান

স্মার্ট সিটিতে বহুমুখী ব্যবহারের স্থান তৈরি করা খুবই জরুরি। আমি দেখেছি অনেক শহরে মানুষের কর্মক্ষেত্র এবং বাসস্থান অনেক দূরে থাকে, ফলে তাদের অনেক সময় রাস্তায় যানজটে নষ্ট হয়। যদি কর্মক্ষেত্র এবং বাসস্থান একই জায়গায় বা কাছাকাছি থাকে, তাহলে মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। বহুমুখী ব্যবহারের স্থানগুলোতে অফিস, দোকান, রেস্টুরেন্ট এবং আবাসিক এলাকা সবকিছু একসাথে থাকে। এর ফলে মানুষ সহজেই তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। আমার মনে হয়, স্মার্ট সিটিগুলোতে বহুমুখী ব্যবহারের স্থান তৈরি করার ওপর জোর দেওয়া উচিত।

কর্মক্ষেত্র ও বাসস্থানের মিশ্রণ

বহুমুখী ব্যবহারের স্থানগুলোতে কর্মক্ষেত্র এবং বাসস্থান একসাথে থাকার ফলে মানুষ সহজেই তাদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। এর ফলে তাদের সময় বাঁচে এবং তারা আরও বেশি উৎপাদনশীল হতে পারে। আমি মনে করি, এটি স্মার্ট সিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।

দৈনন্দিন জীবনের সুবিধা

বহুমুখী ব্যবহারের স্থানগুলোতে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু কাছাকাছি পাওয়া যায়। দোকান, রেস্টুরেন্ট, ব্যাংক এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবা হাতের কাছে থাকার কারণে মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। এছাড়া, এই স্থানগুলোতে সামাজিক কার্যকলাপের সুযোগ থাকে, যা মানুষের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে সাহায্য করে।

সামাজিক সংযোগ এবং কমিউনিটি স্পেস

স্মার্ট সিটিতে সামাজিক সংযোগ এবং কমিউনিটি স্পেস তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেখেছি অনেক শহরে মানুষ একা থাকতে পছন্দ করে এবং তাদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক কম থাকে। কমিউনিটি স্পেস তৈরি করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে এবং তারা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারে। এই স্পেসগুলোতে বিভিন্ন সামাজিক কার্যকলাপ, যেমন – খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম আয়োজন করা যেতে পারে। সামাজিক সংযোগ এবং কমিউনিটি স্পেস মানুষের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। আমার মনে হয়, প্রতিটি স্মার্ট সিটিতে কমিউনিটি স্পেস থাকা উচিত।

সবুজ স্থান এবং পার্ক

কমিউনিটি স্পেসের মধ্যে সবুজ স্থান এবং পার্ক মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্থানগুলোতে মানুষ প্রকৃতির কাছাকাছি আসতে পারে এবং শারীরিক ব্যায়াম করতে পারে। সবুজ স্থান এবং পার্ক শহরের পরিবেশকে উন্নত করে এবং মানুষের মনকে শান্তি দেয়। আমি মনে করি, প্রতিটি স্মার্ট সিটিতে পর্যাপ্ত সবুজ স্থান এবং পার্ক থাকা উচিত।

সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং লাইব্রেরি

সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং লাইব্রেরি কমিউনিটি স্পেসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই স্থানগুলোতে মানুষ সংস্কৃতি এবং শিক্ষার সাথে যুক্ত হতে পারে। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়, যা মানুষের মধ্যে সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ায়। লাইব্রেরিতে মানুষ বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারে এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারে।

বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

স্মার্ট সিটিতে বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা উচিত। আমি দেখেছি অনেক শহরে বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য চলাফেরা করা এবং জীবনযাপন করা কঠিন। তাদের জন্য আলাদা রাস্তা, র‍্যাম্প এবং লিফটের ব্যবস্থা করা উচিত। এছাড়া, তাদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সহায়তা প্রদান করা উচিত। বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব। আমার মনে হয়, প্রতিটি স্মার্ট সিটিতে বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকা উচিত।

সহজগম্য পরিবহন

বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সহজগম্য পরিবহন ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি। তাদের জন্য বাস এবং অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বিশেষ সিট এবং র‍্যাম্পের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া, তাদের জন্য আলাদা পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে তারা সহজে গাড়ি পার্ক করতে পারে।

স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সহায়তা

তাদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সহায়তা প্রদান করা উচিত। তাদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং তাদের প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ এবং চিকিৎসা সেবা পাওয়া উচিত। এছাড়া, তাদের জন্য সামাজিক সহায়তা কেন্দ্র থাকতে হবে, যেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের সাহায্য এবং পরামর্শ পেতে পারে।স্মার্ট সিটিতে সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকার, ডেভেলপার এবং নাগরিক সমাজ একসাথে কাজ করলে একটি সুন্দর এবং বাসযোগ্য স্মার্ট সিটি তৈরি করা সম্ভব। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করি।

শেষ কথা

স্মার্ট সিটিতে সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

সরকার, ডেভেলপার এবং নাগরিক সমাজ একসাথে কাজ করলে একটি সুন্দর এবং বাসযোগ্য স্মার্ট সিটি তৈরি করা সম্ভব।

আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করি।

স্মার্ট সিটি নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে, আমাদের জানাতে পারেন।

কাজের কথা

১. স্মার্ট সিটিতে সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন আবাসন ওয়েবসাইটে খোঁজ করুন।

২. পরিবেশ-বান্ধব বাসস্থান বেছে নেওয়ার জন্য সৌর প্যানেল এবং বৃষ্টির জল সংরক্ষণের সুবিধা আছে কিনা দেখে নিন।

৩. স্মার্ট হোমের সুবিধাগুলো উপভোগ করার জন্য অটোমেশন সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন।

৪. কর্মক্ষেত্র এবং বাসস্থানের কাছাকাছি থাকার জন্য বহুমুখী ব্যবহারের স্থানগুলোতে থাকার চেষ্টা করুন।

৫. সামাজিক সংযোগ বাড়ানোর জন্য কমিউনিটি স্পেস এবং পার্কে সময় কাটান।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

স্মার্ট সিটিতে সাশ্রয়ী মূল্যের বাসস্থান একটি চ্যালেঞ্জ।

পরিবেশ-বান্ধব বাসস্থান ভবিষ্যতের জন্য খুবই জরুরি।

প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্মার্ট হোম জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সাহায্য করে।

বহুমুখী ব্যবহারের স্থান কর্মক্ষেত্র ও বাসস্থানের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়।

সামাজিক সংযোগ এবং কমিউনিটি স্পেস মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।

বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা উচিত।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: স্মার্ট সিটিতে কেমন ধরনের বাসস্থান থাকা উচিত?

উ: আমার মনে হয় স্মার্ট সিটিতে এমন বাসস্থান থাকা উচিত যা আরামদায়ক, সাশ্রয়ী এবং আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত। শুধু উঁচু বিল্ডিং বানালেই হবে না, দেখতে হবে যেন সাধারণ মানুষ সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে। আমি নিজে দেখেছি অনেক স্মার্ট সিটিতে শুধু ধনী লোকেরাই ভালোভাবে থাকতে পারে, গরিবদের জন্য ভালো ব্যবস্থা থাকে না। তাই স্মার্ট সিটির বাসস্থান সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।

প্র: ২০৫০ সালের মধ্যে শহরের জনসংখ্যার চাপ সামলাতে কেমন প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?

উ: ২০৫০ সালের মধ্যে শহরের জনসংখ্যা অনেক বাড়বে, এটা তো পরিষ্কার। তাই এখন থেকেই আমাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাসস্থান তৈরি করতে হবে। আমার মনে হয়, এখন থেকেই বহুতল ভবন নির্মাণের দিকে নজর দেওয়া উচিত, যাতে কম জায়গায় বেশি সংখ্যক মানুষকে জায়গা দেওয়া যায়। এছাড়া, পরিবেশের কথা ভেবে সবুজায়নের দিকেও নজর রাখা দরকার। আমি কিছুদিন আগে একটা আর্টিকেল পড়ছিলাম, সেখানে লেখা ছিল যে সিঙ্গাপুর সরকার এই ব্যাপারে অনেক ভালো কাজ করছে।

প্র: স্মার্ট সিটির বাসস্থান কি শুধু প্রযুক্তিনির্ভর হলেই চলবে?

উ: একদমই না। স্মার্ট সিটি শুধু প্রযুক্তির খেলা নয়। প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই দরকার, কিন্তু তার সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নও জরুরি। আমার মনে হয়, একটা স্মার্ট সিটিতে ভালো স্কুল, হাসপাতাল, পার্ক, খেলার মাঠ – এই সবকিছু থাকা দরকার। আমি নিজে যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের এলাকায় খেলার মাঠ ছিল, যেখানে আমরা সবাই খেলাধুলা করতাম। এখনকার ছেলেমেয়েরা সেই সুযোগ পায় না। তাই স্মার্ট সিটিতে শুধু প্রযুক্তিনির্ভর বিল্ডিং বানালেই চলবে না, মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য যা যা দরকার, তার সবকিছুই থাকতে হবে।

📚 তথ্যসূত্র